শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে বসতবাড়ির পিছনের গাছ থেকে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর সাপ উদ্ধার প্রশিক্ষা ধরণীগঞ্জ শাখার কিস্তি অফিসার আজম ইসলামের অনৈতিক প্রস্তাব: ভুক্তভোগীর পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অনলাইনে চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা নেপালে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ শ্রীনগরে সার্চওয়ারেন্টে সেলিনা আক্তারের মালামাল জব্দ লক্ষীচাপ বল্লমপাঠে ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার উদ্যোগ সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের নিন্দা : ঢাকা প্রেসক্লাবের কঠোর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি মাদক-চাঁদাবাজি থেকে খুনী: ঢাকার ‘লেডি ডন’ গ্রেপ্তার ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই: হাইকোর্ট ২০ টাকায় ডিএমএফ ডাক্তার দ্বারা চক্ষু চিকিৎসার অভিযোগ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে
১৫ নং লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে চরম অনিয়ম: কয়েক শত উপকারভোগী চালবঞ্চিত

১৫ নং লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে চরম অনিয়ম: কয়েক শত উপকারভোগী চালবঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারীর ১৫ নং লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কার্ডধারীর জন্য বরাদ্দ ১০ কেজি চালের স্থলে দেওয়া হয়েছে ৮-৯ কেজি। এছাড়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৫ জনসহ অন্যান্য ৮টি ওয়ার্ডেও শত শত উপকারভোগী চাল পাননি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ভোক্তাদের ২০০ টাকা করে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চাল কম দেওয়ার অভিযোগ: উপকারভোগীরা বঞ্চিত

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হয়েছে ৮-৯ কেজি। স্থানীয়রা বলছেন, বাকি চাল কোথায় গেল, তার জবাব মিলছে না।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, “আমার কার্ড থাকলেও ১০ কেজি চাল পাইনি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের একজন বলেন, “আমি দুইবার গিয়েছি, বলছে চাল নেই। অথচ পাশের বাড়ির লোকজন চাল পেয়েছে। তাহলে আমার চাল গেল কোথায়?”

প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই চাল না পাওয়ার অভিযোগ

শুধু ৮ নম্বর ওয়ার্ডেই ৬৫ জন উপকারভোগী এখনও চাল পাননি। বাকী ৮টি ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক শত উপকারভোগী চাল পাননি। আবার যারা পেয়েছেন তারাও পরিমানে কম পেয়েছেন।

এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, “আমার পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ আছে, অথচ পাইনি। চেয়ারম্যানকে বললে তিনি ২০০ টাকা নিতে বলেন, চাল নয়। আমরা চাল চাই, টাকা নয়।”

চেয়ারম্যান ও তার ড্রাইভার এর বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ:

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অনিয়মের মূল হোতা চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও তার ড্রাইভার সাজু ইসলাম। তারা বরাদ্দকৃত চাল কম দিয়ে বা লুকিয়ে রেখে তা বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অনেকের ধারনা।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, “প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি থাকার কথা কিন্তু কিন্তু বিতরনের সময় চাল ৩ জনকে মিলে একটি বস্তা দিলেও বস্তা খুলে চাল বের করে নিচ্ছেন। এদিকে চালের সংকট দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে বরাদ্দের চাল অন্য কোথাও চলে গেছে।”

চেয়ারম্যানের সাফাই: ‘সবাই চাল পাবে’

চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। কয়েকজনের চাল বাকি আছে, পরে দেওয়া হবে।”

তবে স্থানীয়রা বলছেন, এই “পরে দেওয়া হবে” কথা আগেও শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবে কেউ চাল পাননি।

ভুক্তভোগীদের দাবি: তদন্ত ও শাস্তি চাই

স্থানীয়রা দ্রুত সরকারি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং এই অনিয়মের জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

স্থানীয় একজন সমাজসেবক বলেন, “এই অনিয়ম সহ্য করা যায় না। দরিদ্র মানুষদের হক মেরে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”

সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ আত্মসাৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধ হয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com